ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনা: আজাদ কালাম  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০০:১৪, ৪ জুন ২০১৮ | আপডেট: ১৭:১৫, ৪ জুন ২০১৮

আজাদ কালাম দীর্ঘ দিন থেকে মিডিয়ায় কাজ করছেন। টেলিভিশন জগতে তার বেশ সুনাম রয়েছে। নির্মাতা হিসেবে আত্বপ্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়্ক নাটক ‘অপুর একাত্তর’ এর মাধ্যমে। নাটক ‘হরতাল’ এর জন্য আরটিভির সেরা নির্মাতার স্টার অ্য়াওয়ার্ড ২০১৬ পুরস্কার পান। এরপর তিনি বাংলাদেশের বেশকিছু জনপ্রিয় নাটক নির্মাণ করেন। জনপ্রিয়তা অব্যাহত রেখে প্রতিনিয়ত দর্শকের জন্য নির্মাণ করে যাচ্ছেন ট্রাজেডি,কমেডি,পরিবার কেন্দ্রীয় নাটক।   

এরই সুত্র ধরে গত ২৫ মে ‘মেঘ মায়া’ নাটকের শুটিংয়ে জন্য নেত্রকোনার বিরিশিরিতে পুরো ইউনিট নিয়ে তিনটি নাটকের শুটিং করতে যান নির্মাতা আজাদ কালাম। সেখানে তিনটি নাটকের শুটিং করতে দুইদিন বরাদ্ধ রাখলেও একটি নাটক ‘জনক’ এর জন্য একদিন সময় বৃদ্ধি করলে বাজেট বেড়ে যায়। বাজেট বৃদ্ধি হলে একদিনের পুরো ইউনিট খরচ ও হোটেলের বিল আটকে গেলে বিপত্তীতে পড়ে পুরো ইউনিট।   

অপরদিকে আজাদ কালাম অন্য একটি নাটকের শুটিং করতে পাহাড়ে অবস্থান করলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনের সিগনাল না পাওয়ায় তার ফোন বন্ধ দেখায়। ফোনে যোগাযোগ করতে না পারায় অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি উল্লেখ করেন তারা হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছে আটক। এ নিয়ে গণমাধ্যমে নিউজ প্রচার হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজাদ কালাম অভিমানে ফেসবুকে মিডিয়া ছাড়ার স্ট্যাটাস দেন।

নির্মাতা আজাদ কালাম বলেন, মোট তিনটি নাটক করার জন্য আমরা পুরো ইউনিট সেখানে যাই। শুরুতে ‘মেঘমায়া’ নাটকের শুটিং করি। এরপর জনক নামে একটি নাটক নির্মাণ করার জন্য শুটিং এর ব্যবস্থা করি। জনক নাটকের স্ক্রীপ্ট তারিক আনামকে দিলে তিনি এই নাটকের জন্য একদিন সময় বেশি করে বরাদ্ধ করেন। কারণ নাটকটির গল্প বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে। এর গল্প ছিল অসাধারণ। এই একদিন সময়ের পুরো খরচটা আটকে যায়। আমি হোটেলের বাহিরে থাকায় এর পেমেন্টটা ঐদিন দিতে না পারায় এমন ঘটনা ঘটে। আমার প্রযোজক টাকাটা আগেরদিন দিলেও ব্যাংকের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তা পরের দিন একাউন্টে জমা হয়। এরপর সমস্ত টাকা পরিশোধ করা হয়।

এ প্রসঙ্গে অভিনেতা তারিক আনাম বলেন, সম্পুর্ণ ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ধরনের ঘটনা ঘটেছে। আমরা শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম, আর পাহাড়ে শুটিং অবস্থায় মোবাইলে নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় ফোন বন্ধ হয়ে ছিল। পরে রাত দুইটার দিকে হোটেলে আসলে সবকিছু মিটিয়ে দেন আজাদ কালাম। 

অভিনেতা শ্যামল মাওলা বলেন, সাধারণত আমরা জানতাম না তিনি হোটেল ছেড়ে শুটিং করতে পাহাড়ে অবস্থান করছেন। জানলে হয়তো এমন কাজ হতো না। আসলে যা কিছু হয়েছে সেটা ভুল ছাড়া অন্য কিছু নয়। আজাদ কালাম একজন ভালো মানের নাটক নির্মাতা তিনি এমন ধরনের কাজ করতে পারেন না। আশাকরি সবাই বিষয়টি ভালোভাবে নিবেন।

প্রযোজক শহীদুর রহমান জানান, আজাদ কালাম একজন নাট্য নির্মাতা হিসেবে জনপ্রিয় ব্যক্তি। তার নাটক দর্শকরা গ্রহণ করে। তিনি আমার কাছে টাকার কথা বললে আমি দুপুরের মধ্যে পাঠিয়ে দেই। কিন্তু ব্যাংকের কিছু সমস্যার কারণে টাকা পরেরদিন তার একাউন্টে জমা হলে এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েন। এটা আসলে শিল্পীদের ভুলের কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। যদি ঐ মুহূর্তে ফেসবুকে স্ট্যাটাস না দেওয়া হতো, তাহলে ঘটনাটা এত দূর পর্যন্ত গড়াতো না।

এসি

   


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি